ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে যে ৪টি খাবার

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস একটি অতি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। ডায়াবেটিস মূলত এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ। তবে সঠিক জীবনধারা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর পাশাপাশি উক্ত বিষয়ে পূর্বেই সতর্কতা অবলম্বন করলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশেই হ্রাস পায়। আজকের এই ব্লগ পোস্টটিতে আপনারা এমন চারটি খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন যেগুলো নিয়মিত গ্রহণ করার মাধ্যমে অনেকাংশেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। আর যারা এখনো ডায়াবেটিসের সমস্যায় আক্রান্ত হননি, তারাও উক্ত খাদ্যগুলো নিয়মিত গ্রহণ করার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। 

আরও পড়ুন : অপটিমাস হিউম্যানয়েড রোবট নিয়ে বাজারে আসছে টেসলা

১.ওটস: ওটস একটি উচ্চমানের শর্করা জাতীয় খাদ্য। এর পাশাপাশি ওটসে আরও রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। এটিতে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের এনজাইম থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আর তাই নিয়মিত ওটস খেলে মানবদেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিপায়। যার ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

২.মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে জিআই বা গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স রয়েছে। যা রক্তের অতিরিক্ত শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার, যা ইনসুলিনের সংবিধানশীলতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এতে আরও রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা এক গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যার ফলে ডায়াবেটিস লেভেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

৩.বাদাম: বাদাম একটি অতীব স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী। বাদামে আরও রয়েছে মনোস্যাচুরেটেট ফ্যাট,প্রোটিন এবং ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে আখরোট, কাঠবাদাম ও চিনাবাদাম মানবদেহের ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। 


৪.বিট: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিট অত্যন্ত উপযোগী খাবার। বিটে রয়েছে নাইট্রিক অ্যাসিড যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে এটি মানবদেহে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। ফলে বিট ডায়াবেটিসের পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও একটি অত্যন্ত সহায়ক খাদ্য। 

আরও পড়ুন : চাঁদের পৃষ্ঠে চীনের অভিযান

তাই ডায়াবেটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতে উপরোক্ত খাদ্যগুলোকে নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে শর্করার মাত্রা অধিক বেড়ে গেলে যেহেতু ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়ে থাকে, তাই আমাদেরকে খাদ্য তালিকা নির্বাচনের সময় অবশ্যই নিম্ন শর্করাযুক্ত খাদ্যগুলোকে বাছাই করতে হবে। তবে যে কোনো খাদ্য তালিকা তৈরি করার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে উক্ত সুষম খাদ্যগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে পারেন আপনিও।

Post a Comment

Previous Post Next Post