গত ৩ জুলাই ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক ধর্মীয় জমায়েতে পদপিষ্ট হয়ে হয়ে প্রাণ হারান শতাধিক ব্যক্তি। উক্ত দুর্ঘটনায় নাম উঠে আসে সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সরকার হরি ওরফে "ভোলে বাবা"। ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে, গত তিন জুলাই স্বঘোষিত ধর্মগুরু "ভোলে বাবার" একটি ধর্মীয় জমায়েতের (সৎসঙ্গ) আয়োজন করেন।
উক্ত ধর্মীয় জমায়েতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাত্র ৮০ হাজার মানুষকে যোগদানের অনুমতি দেওয়া থাকলেও প্রকৃত অর্থে এই সংখ্যার প্রায় কয়েক গুণ বেশি মানুষ এতে যোগদান করে। এমতাবস্থায় উক্ত ধর্মীয় জমায়েত শেষে ভোলে বাবার পদধূলি সংগ্রহ করতে গিয়ে পদশিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১২১ জন ব্যক্তি, এর পাশাপাশি বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটে। উক্ত ঘটনার পর থেকেই "ভোলে বাবা" নামক এই ধর্মগুরুকে নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন : স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু হচ্ছে বাংলাদেশেভারতের উত্তরপ্রদেশের এক দরিদ্র কৃষকের বাড়িতে জন্ম হয় সুরজ পালের ( ভোলে বাবা ) । তার প্রকৃত নাম সুরজ পাল সিংহ, যদিও একাধিকবার তার এই নাম পরিবর্তন করার মাধ্যমে সর্বশেষ "ভোলে বাবা" নাম ধারণ করেছেন করেছেন এই ব্যক্তি। পড়াশোনা শেষে সুরজ পাল যোগদান করেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একজন হেড কনস্টেবল হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত অবস্থায় ছিলেন তিনি। পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার সাপেক্ষে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। জেলেও থাকতে হয়েছে বেশ কিছুদিন। জেল থেকে মুক্তির পর তিনি সকলের নিকট প্রচার করতে থাকেন যে, তিনি স্বপ্নে ঈশ্বরের দেখা পেয়েছেন এবং নিজের পৈতৃক বাড়িতেই আশ্রম খুলে বসেন।
সেই সময় তিনি নিজেকে "সাকার বিশ্ব হরি বাবা" হিসেবে সকলের নিকট পরিচয় দিতে থাকেন। এরপর থেকেই ভারতের হরিয়ানা, উত্তরখান্ড,রাজস্থান এবং দিল্লি-সহ সমগ্র ভারতজুড়ে ধীরে ধীরে তার ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এ সময় তিনি ভোলে বাবা নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু (ভোলে বাবা)।
আরও পড়ুন : সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি
আরও পড়ুন : সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি
Post a Comment