বর্তমান বিশ্বে ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে নানান কোম্পানির অত্যাধুনিক ইয়ারফোনগুলোর চাহিদা। তবে ইয়ারফোনগুলোর মাঝে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অ্যাপলের এয়ারপডসগুলো। অ্যাপল তাদের এয়ারপডসগুলোতে প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন ফিচার সমূহ সংযুক্ত করে তাদের এয়ারপডসগুলোকে অন্যান্য ইয়ারফোনের তুলনায় বেশ উন্নত করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে যে, অ্যাপল তাদের নতুন এয়ারপোর্টে ইনফ্রারেড (অবলোহিত) ক্যামেরা সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন যে, অ্যাপলের নতুন এই এয়ারপডসগুলোতে যে ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত অন্যান্য সাধারণ ক্যামেরার মতো হবে না। অ্যাপলের নতুন এই এয়ারপডসগুলোতে ব্যবহৃত এই ইনফ্রারেড ক্যামেরাগুলো মূলত ব্যবহৃত হবে সেন্সর হিসেবে। অ্যাপলের ফ্রন্ট ফেইসিং ক্যামেরায় ব্যবহার করা ফেস আইডি সেন্সরের মতো ইনফ্রারেড (আইআর) ভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে নতুন এই এয়ারপডসটিতে ।
আরও পড়ুন : নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ও চেক করুন
তবে এই নতুন এয়ারপডসটিতে ইনফ্রারেড ভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহার করে কি কি নতুন ফিচার সংযুক্ত হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে এখনো কোন অফিসিয়াল তথ্য প্রকাশ করেনি অ্যাপল। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, হয়তো ২০২৬ সালের দিকে এই ইনফ্রারেড ক্যামেরাযুক্ত এয়ারপডসগুলো বাজারে আনতে চলেছে অ্যাপল। তবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আরও অতিরিক্ত কিছুদিনের প্রয়োজন হতে পারে।
২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রথমবারের মতো বাজারে ওয়ারলেস বা তারবিহীন ইয়ারফোন আনে অ্যাপল। সেই সময় অ্যাপল তাদের এই নতুন এয়ারবাডটির নাম দেয় এয়ারপডস। এয়ারপডস বাজারে আসার পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলে। বিশেষ করে তারবিহীন হেডফোনের তুলনায় তারবিহীন ইয়ারফোন তুলনামূলক বেশ হালকা এবং ব্যবহার করা সহজ বলে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরাই তখন অ্যাপেলের এই নতুন এয়ারপডসটির এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে এই এয়ারপডসগুলো বাজারের অন্যান্য সকল কোম্পানির ওয়ারলেস ইয়ারফোনের এর তুলনায় বহুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
Post a Comment