ঢাবি সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

সমগ্র দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা সহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভা আয়োজিত হয়। সিন্ডিকেট ফোরামের উক্ত সভা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ১৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এবং এর পূর্বেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিকেল ৪ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায়র প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই  বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে করেছে শিক্ষার্থীরা।  অপরদিকে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর চলমান হামলার প্রতিবাদ এবং হল ত্যাগের নির্দেশের প্রতিবাদে বৃক্ষ প্রদর্শন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান ছাত্র হলের প্রায় ১২ টি কক্ষ (ছাত্রলীগের) ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের হলত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাহারসহ এক দফা এক দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে।

আরও পড়ুন : এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত মঙ্গলবার সংঘটিত হওয়া ভয়াবহ সংঘর্ষে ৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন। ঘটনাসূত্রে জানা যায় যে, গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষে রংপুরের ১ জন, চট্টগ্রামের ৩ জন এবং ঢাকায় ২ জনসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে। আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বুধবার (১৭ জুলাই) দেশব্যাপী কফিন মিছিল এবং গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অস্থিতিশীল এই পরিস্থিতিতে দেশের সকল স্কুল,কলেজ এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

Post a Comment

Previous Post Next Post