আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে ধ্বংস করতে নাসার সাথে চুক্তি ইলন মাস্কের

১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে সর্বপ্রথম মহাকাশে স্থাপিত হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আই এস এস)। ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হলেও এতে প্রথমবারের মতো নভোচারীর আগমন ঘটে ২০০০ সালে। এরপর ক্রমান্বয়ে মহাকাশ স্টেশনটিতে আরে নানা অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ সংযুক্তির মাধ্যমে স্টেশনটি তার বর্তমান রূপ ধারণ করে। 

বিগত প্রায় আড়াই দশক ধরে মহাকাশচারীরা নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে আসছিল এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে ব্যবহার করা হয় মূলত মহাকাশে আগত নভোচারীদের আবাসস্থল এবং গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলো বেশ পুরনো হয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই মহাকাশ স্টেশনটিকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নাসা। 

আরও পড়ুন : স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু হচ্ছে বাংলাদেশে

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটির মোট ভর প্রায় ৪,১৯,৪৫৫ কেজি এবং উচ্চতা প্রায় ২০ মিটার। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে তার কক্ষপথ থেকে নামিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই নাসার সাথে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। বিশাল আকৃতির এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে থেকে তার কক্ষপথ থেকে নামিয়ে আনতে প্রয়োজন হবে নভোযানের সাথে যুক্ত কিছু বিশেষ যন্ত্রাদির। যা তৈরিতে এবং মহাকাশ স্টেশনটিকে নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে স্পেসএক্স।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে নামিয়ে আনতে প্রথমেই উক্ত মহাকাশ স্টেশনটিকে ধাক্কা দিয়ে তার কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করা হবে। স্টেশনটিকে তার কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করার পর সেটিকে মহাজাগতিক বর্জ্য হিসেবে মহাকাশে বিলীন করে দেওয়া হবে না। বরং উক্ত মহাকাশ স্টেশনটিকে পৃথিবীতে ভূপাতিত করা হবে। ধারণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার সাথে সাথেই আইএসএসটির অধিকাংশ অংশই পুড়ে যাবে। 


এর পাশাপাশি ভূপৃষ্ঠ হতে ৫০ থেকে ৬০ মাইল উচ্চতার মাঝে আসার সাথে সাথেই আইএসএসটি বিভিন্ন মডিউলে খন্ডিত হয়ে যাবে। সর্বশেষ অবশিষ্ট অংশগুলো প্রশান্ত মহাসাগরের এক বিস্তীর্ণ এলাকায় পতিত হবে। প্রশান্ত মহাসাগরের উক্ত নির্দিষ্ট অঞ্চলের নাম দেওয়া হয়েছে "পয়েন্ট নেমো"। তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, যেকোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা পেতে উক্ত সময় ওই অঞ্চলে সকল প্রকার জাহাজ এবং বিমান চলাচল স্থগিতের পাশাপাশি, বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন :  সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি

Post a Comment

Previous Post Next Post