স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু হচ্ছে বাংলাদেশে

৬ জুন ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বারের মতো ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো এই ইন্টারনেট সেবা প্রদান চালু করে ইনফরমেশন সিস্টেম নেটওয়ার্ক (আইএসএন)। ইন্টারনেট সংযোগের পর থেকে বাংলাদেশে উন্মোচিত হয় উন্নয়নের এক নতুন ধারা। আর এই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের হার প্রায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটলেও এখনো বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট সহজলভ্য নয়। আর এই পৃথিবীব্যাপী প্রত্যন্ত বা পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্যই উদ্যোগ গ্রহণ করে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। বিগত ২০২২ এবং ২০২৩ সাল থেকেই বাংলাদেশে স্টারলিংক  এর সেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে ইন্টারনেট সেবা প্রদান চালু করতে পারেনি স্টারলিংক। তবে আশা করা যাচ্ছে এবছর থেকেই পরিপূর্ণরূপে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বাংলাদেশবাসী।

স্টারলিংক কি ?

স্টারলিংক মূলত হলো একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার নাম। এজাতীয় ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে পৃথিবীর কাছাকাছি বা নিম্নে অবস্থিত কক্ষপথ গুলোতে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট গুলোকে স্থাপন করা হবে এবং পরবর্তীতে উক্ত স্থাপনকৃত স্যাটেলাইটগুলো ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। যার ফলে পৃথিবীর সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৫০ থেকে ১৫০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন উক্ত অঞ্চলের বসবাসকারীরা। এ জাতীয় ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে যেহেতু টাওয়ার অথবা তারের প্রয়োজন হয় না, তাই স্থানভেদে সকল জায়গায় সমান ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে স্থান বা রেঞ্জ ভেদে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীকে প্রতিমাসে প্রায় ১২০ ডলার বা ১২,০০০ থেকে ১৪,০০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে।



বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্টারলিংক

বাংলাদেশে এমন অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখানে এখনো যথাযথ ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশে যদি পর্যায়ক্রমে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু হয় তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাও ব্যবহারের সুযোগ পাবে। যা আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রধারাকে একটি নতুন মাত্রা প্রদান করবে। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী স্থাপিত যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও এক বিরাট পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা স্থাপনের জন্য অধিক মূল্য প্রদানের প্রয়োজন হলেও, ধীরে ধীরে তা সাধারণ জনগণের এর সাধ্যের মাঝে চলে আসবে। যা সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্যও এক আশীর্বাদ রূপে গণ্য হবে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post