বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করেছে তাহিরপুর,ছাতক এবং সুনামগঞ্জ সদরে । সদর ছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামই ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টা এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং এর পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা। এমন অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট এবং কানাইঘাটে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৪৫০ টি গ্রামের ২ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন । বিভিন্ন পয়েন্টে সীমান্তবর্তী নদী গুলোর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উক্ত অঞ্চলে বসবাসকারীদের।ইতোমধ্যে পানিবন্দী অবস্থাতেই সিলেট অঞ্চলে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল আযহা। এমতাবস্থায় ঈদগায় পানি ঢুকে পড়ায় বেশ কয়েকবার ঈদের নামাজের জামাত পেছাতে হয় মুসল্লিদের, এর পাশাপাশি শহরে পানি প্রবেশ করায় কোরবানি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। যে সকল অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ইতোমধ্যে ভয়াবহতা ধারণ করেছে সে সকল অঞ্চলের বাসিন্দাদের খুব দ্রুতই আশ্রয় কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রায় সকল ধরনের প্রস্তুতি তারা তো মধ্যেই গ্রহণ করেছেন। তবে বন্যা পরিস্থিতি যদি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তবে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো বিপাকে পড়তে পারে এবং সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি এবং সরকারের সহযোগিতাই সকলের কাম্য।
Post a Comment