৫ টি গুরুত্বপূর্ণ হেলথ টিপস

স্বাস্থ্যই সম্পদ আর আমার প্রতিদিনের জীবনকে সহজ এবং প্রানবন্ত রাখার জন্য সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে আমরা অনেক সময়ই নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে পারি না। তবে নিচের ছোট্ট ৫ টি হেলথ টিপস মেনে চললে তা আপনাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই সুফলদায়ক হবে। 

১) পর্যাপ্ত পানি পান করুন : পানির অপর নাম জীবন। আমদের স্বাস্থ্যকে সুস্বাস্থ্যে পরিণত করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা। প্রতিটি মানুষের উচিত দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা। পর্যাপ্ত পানি করলে ত্বক সতেজ থাকে এবং দৈনন্দিন কাজে নতুন উদ্যম অনুভূত হয়।


২) প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন : দেহকে কর্মক্ষম রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দৈনিক হালকা ব্যায়াম করা। বয়সভেদে সকলেরই প্রতিদিন হালকা থেকে ভারী ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিন প্রায় ৫-৩০ মিনিট ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। ভারী ব্যায়াম করার সুযোগ না থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে হাটাহাটি করা উচিত। নিয়মিত হাটাহাটি করাও একধরনের হালকা ব্যায়াম যা দেহকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে। 




৩) স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ : স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাবারে দেহের চাহিদা অনুযায়ী আমিষ, শর্করা এবং চর্বি জাতীয় খাদ্য না থাকলে,  দেহ খুব অল্প সময়েই দুর্বল হয়ে পরে। আর তাই দৈনিক খাবার এ সকল উপাদানের পাশাপাশি খনিজ লবণ এবং ভিটামিন এর পর্যাপ্ত পরিমাণে উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক খাবার তালিকায় এসকল খাদ্য উপাদানের অনুপস্থিতি খুব সহজেই মানব দেহকে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠে। আর তাই দৈনিক খাবার তালিকায় এসকল খাদ্য উপাদানের উপস্থিতির উপর আমাদের অধিক যত্নশীল হতে হবে। 


৪) পর্যাপ্ত ঘুম : প্রতিটি মানুষের বয়সভেদে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। কোন ব্যাক্তির দৈনিক ঘুমের পরিমাণ ৬ ঘন্টার কম হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতার দেখা দেয়। আর তাই প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে পর্যাপ্ত ঘুম সকলের জন্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 


৫) নিয়মিত চেকআপ : স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং যেকোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলেরই উচিত নিয়মিত হেলথ চেকআপ করানো। যদি নিয়মিত চেকআপ করানোর সুযোগ না হয়, তবে অন্তত প্রতি ৬ মাসে একবার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট হেলথ চেকআপ করানো উচিত। 


নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্ব


উক্ত হেলথ টিপসগুলো নিয়মিত মেনে চলার পাশাপাশি আমদেরকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার দিকেও অধিক নজর দিতে হবে। নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা, আমাদের প্রত্যেকের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠা উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলে একদিকে যেমন আমাদের প্রাথমিক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে, ঠিক তেমনিভাবে আমাদের জীবন যাত্রার মানেরও উন্নয়ন ঘটবে। আর তাই কিছু কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন: রক্তচাপ পরীক্ষা, রক্তের সুগার পরীক্ষা, কোলেস্টেরল পরীক্ষা,চক্ষু পরীক্ষা এবং ডেন্টাল পরীক্ষার মতো পরীক্ষাগুলো আমাদের নিয়মিত করানো উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রথমেই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।


ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত নয়। কেননা কোন ব্যক্তির বয়স, স্বাস্থ্য ইতিহাস এবং অন্যান্য ফ্যাক্টর বিবেচনা করে কেবলমাত্র একজন ভালো চিকিৎসকই উক্ত ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সমূহ নির্ধারণ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার পরিবারের সকলের হেলথ চেকআপ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, ঠিক তেমনিভাবে মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়।



Post a Comment

Previous Post Next Post